পালংশাক চাষ পদ্ধতি
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা জানুন পালংশাকের চাষ পদ্ধতি ও জমি তৈরি এবং সার প্রয়োগ সম্পর্কে
পালংশাক বেশ জনপ্রিয়, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এটি একটি শীতকালীন সবজি। এটি ক্যারোটিন সমৃদ্ধ।
আরোও পড়ুন – লাল শাক চাষ পদ্ধতি
মাটি
এর জন্য দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি অধিক উপযোগী।
সময়
ভাদ্র-অগ্রহায়ণ পর্যন্ত এর বীজ বপন করা যায়।
জাত
দেশী পালং ছাড়া বিদেশী জাতগুলো হচ্ছে – নবেল জায়েন্ট, ব্যানার্জি জায়েন্ট, অলগ্রীন, পুষ্পজ্যোতি ইত্যাদি।
আরোও পড়তে পারেন – পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি
বীজের হার
এক শতকে | একর প্রতি | হেক্টর প্রতি |
১২০-১৬০ গ্রাম | ১২-১৬ কেজি | ৩০-৪০ কেজি |
জমি তৈরি
চাষ ও মই দিয়ে মাটি মিহি করে তৈরি করতে হবে।
বীজ বপন
বীজ ছিটিয়ে বা সারি করে বপন করতে হয়। একদিন ও একরাত বীজ ভিজিয়ে বুনতে হয়। ২০-২৫ সেঃমিঃ দূরে দূরে সারি করে বীজ বোনা যায়। সারিতে ৪-৫ সেঃমিঃ দূরে বীজ বোনা ভালো।
আরোও পড়ুন – বাঁধাকপি চাষ পদ্ধতি
সারের পরিমাণ
সারের পরিমাণ | গোবর | ইউরিয়া | টিএসপি | এমওপি |
এক শতকে | ২০ কেজি | ৮০০ গ্রাম | ৩০০ গ্রাম | ২৫০ গ্রাম |
একর প্রতি | ২.০ টন | ৮০ কেজি | ৩০ কেজি | ২৫ কেজি |
হেক্টর প্রতি | ৫.০ টন | ২০০ কেজি | ৭৫ কেজি | ৬০ কেজি |
সার ব্যবহারের নিয়ম
- ইউরিয়া ছাড়া সব সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। তবে গোবর জমি তৈরির প্রথম দিকে দেওয়া উচিত।
- ইউরিয়া সার চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর থেকে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
সেচ প্রদান
মাটিতে রসের অভাবে সেচ দিলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আবার অতিরিক্ত পানি জমলে সুনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরোও পড়তে পারেন – ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
অন্যান্য পরিচর্যা
গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। আগাছা থাকলে নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ১৫-২০ দিন পর থেকে ঘন জায়গার চারা তুলে দিতে হয়। এগুলো শাক হিসেবে পাওয়া যায়।
ফসল সংগ্রহ
বীজ বপনের প্রায় এক মাস পর থেকে শাক খাওয়া যেতে পারে।
ফলন
এক শতকে | একর প্রতি | হেক্টর প্রতি |
২০ কেজি | ২.০ টন | ৫.০ টন |