ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,উপকারিতা ও অপকারিতা | ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

ড্রাগন ফল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং খেতে খুবই সুস্বাদু। বর্তমান বিশ্বে এর চাহিদা ব্যপক। তাই আসুন জেনে নিই ড্রাগন ফল চাষের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে।

সবচেয়ে লাভজনক ফল চাষ

দেশীয় ফলের আবাদের সাথে সাথে বিদেশ থেকে আনিত ফলের অভিযোজিতা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় কিছু ফলের জাত আবিষ্কৃত হয়েছে। ড্রাগন ফল তাদের মধ্যে অন্যতম।

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফল চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিশ্ববাজারে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত ফসল হচ্ছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে লতানো এক ধরনের ক্যাকটাস গোত্রীয় গাছের ফল।

এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত ড্রাগন ফলের নতুন জাতটি হলো বারি ড্রাগন ফল-১ যা দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয় ফল।

এ ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির । ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো ও নরম । একটি ফলের ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ড্রাগন ফলের জাত

সাধারণত ড্রাগন ফল তিন প্রজাতির হয়ে থাকে –

১) লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া – এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

২) কোস্টারিকা ড্রাগন ফল – খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল।

৩) হলুদ রঙের ড্রাগন ফল – এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।

বাংলাদেশে উদ্ভাবিত জাত

  • বারি ড্রাগন ফল-১
  • বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা)
  • বাউ ড্রাগন ফল-২ ( লাল )
  • বাউ ড্রাগন ফল-৩

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ

ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত। ফলে খনিজ পদার্থ ও অ্যন্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ফ্যাট, ক্যারোটিণ, প্রচুর ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম, আয়রন রয়েছে।

এছাড়াও ড্রাগন ফলে যে সকল পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা হলো –

  • পানি
  • শর্করা
  • প্রোটিন
  • আঁশ
  • খাদ্যশক্তি
  • চর্বি
  • ক্যালসিয়াম
  • আয়রন
  • ফসফরাস
  • ক্যারোটিন
  • ভিটামিন- বি

ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

ড্রাগন ফল-এর উপকারিতা

  • কোলেস্ট্রোরেলের মাত্রা কমায়।
  • হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • হাঁপানি রোগে অত্যন্ত উপকারি।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • বয়সের চাপ দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
  • রক্ত চলাচল বজায় রাখে।
  • চুলপড়া প্রতিরোধ করে।
  • ইমিনিউ সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
  • আয়রন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল-এর অপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারন ড্রাগন ফলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা রয়েছে। যেমন –

  • এলার্জি হতে পারে।
  • ডায়রিয়া সমস্যা হতে পারে।
  • নিম্ন রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অতিরিক্ত ড্রাগন ফল না খাওয়াই ভালো। উপরে উল্লিখিত অপকারিতার দিকগুলো খেয়াল রাখা উচিত।

ড্রাগন ফলের চারা কোথায় পাওয়া যায়?

বিভিন্ন নার্সারিতে ড্রাগন ফলের চারা পাওয়া যায়।

ড্রাগন ফলের দাম কত?

৫০০ টাকা কেজির অপ্রচলিত এই ফল বর্তমানে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ড্রাগন ফল সংগ্রহের এই ভরা মৌসুমে শহর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, পরিবহনসংকটও চলছে।

ফলে বেচাকেনা ও দাম দুটোই ব্যাপকভাবে কমেছে। ৫০০ টাকা বা তারও বেশি দামের ড্রাগন ফল এখন মাত্র ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম

বর্তমানে ড্রাগন ফলের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই ফলটি সকলেরই পরিচিত। প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফলটির দাম একটু বেশি। তাই অনেকেরই এই ফল সংগ্রহ করা সাধ্যের বাইরে।

তবে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। তাহলে চলুন ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

ড্রাগন ফলের আকৃতি অন্যান্য ফলের মত নয়। তাই অনেকেই জানে না কিভাবে ড্রাগন ফল খেতে হয়। ড্রাগন ফল না পাকলে স্বাদ পাওয়া যায় না। কিন্তু অতিরিক্ত পেকে গেলে এর স্বাদ অতটাও ভালো লাগেনা।

  • প্রথমে লক্ষ্য করুন, ড্রাগন ফলের গায়ে কালো দাগ বা ক্ষত বাদামী শুষ্ক দাগ বা শুকনো কাটা থাকলে, এই ধরনের ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন‌।

কারণ এগুলোর স্বাদ অতটা ভালো নয়। তাই ভালো সাদ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাছাই করে কিনতে হবে।

  • ফলটির ভেতরের অংশ বের করার জন্য চামচ দিয়ে উপরের অংশ ফেলে ভেতরের অংশ বের করুন।
  • ফলটি যদি পাকা হয় তাহলে খুব সহজেই এর খোসা বের করে ভেতরের অংশ বের করতে পারবেন। উপরের খোসা বের করে ভেতরের অংশ চামচ দিয়ে খেতে পারবেন।

এছাড়াও এটি কেটে টুকরো করেও খেতে পারবেন। পাকা ড্রাগন ফলের স্বাদ অনেক ভালো। তবে ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের রঙিন খোসা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ড্রাগন ফলের চাষ পদ্ধতি

ড্রাগন ফল চাষে জমি নির্বাচন ও তৈরি

পানি জমে না এমন উঁচু ও মাঝারি উঁচু এবং উর্বর জমি নির্বাচন করতে হবে। জমিটি ২-৩ টি চাষ দিয়ে ভালোভাবে মই দিয়ে সমান করতে হবে।

রোপণ পদ্ধতি ও রোপণের সময়

সমতল ভূমিতে বর্গাকার বা ষড়ভূজাকার এবং পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপণ করতে হবে। ড্রগন ফল রোপণের জন্য উপযোগী সময় হলো মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য অক্টোবর।

ড্রাগন ফলের বংশবিস্তার

অঙ্গজ পদ্ধতি বা বীজের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বংশবিস্তার হয়ে থাকে। তবে মাতৃ গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতিতে অর্থাৎ কাটিংয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করাই উত্তম।

কাটিংয়ের সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং ফল খুব দ্রুত আসে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গাছে ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। 

অঙ্গজ পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চারা উৎপাদন

সাধারণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখা ১ থেকে ১.৫ ফুট কেটে হালকা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুঁতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০ দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে।

তখন এটি মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশে ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়।

ড্রাগন ফল চাষে প্রনিং ও ট্রেনিং

ড্রাগন ফলের গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মোটা শাখা তৈরি করে। একটি এক বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে এবং ৪ বছরের বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি করতে পারে।

তবে ড্রাগন ফল গাছের শাখা প্রশাখার উৎপাদন উপযুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১২ থেকে ১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করতে পারে। ফল সংগ্রহের ৪০ থেকে ৫০টি প্রধান শাখায় প্রত্যেকটি ১ বা ২টি সেকেন্ডারি শাখা অনুমোদন করা হয়।

তবে এ ক্ষেত্রে টারশিয়ার ও কোয়ার্টারনারি প্রশাখাকে অনুমোদন করা হয় না। ট্রেনিং এবং প্রনিংয়ের কার্যক্রম দিনের মধ্যভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রনিং করার পর অবশ্যই যে কোনো ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

ড্রাগন ফল চাষে গর্ত তৈরি ও চারা রোপণ

১.৫ মিটার x ১.৫ মিটার x ১ মিটার আকারের গর্ত করে তা রোদে খোলা রাখতে হবে। গর্ত তৈরির ২০-২৫ দিন পর প্রতি গর্তে ২৫-৩০ কেজি পচা গোবর , ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ১৫০ গ্রাম জিপসাম এবং ৫০ গ্রাম জিংক সালফেট সার গর্তের মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে।

গর্ত ভরাটের ১০-১৫ দিন পর প্রতি গর্তে ৫০ সেমি দূরত্বে ৪ টি করে চারা সোজাভাবে মাঝখানে লাগাতে হবে। চারা রোপণের ১ মাস প থেকে ১ বছর পর্যন্ত প্রতি গর্তে ৩ মাস পর পর ১০০ গ্রাম করে ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে।        

ড্রাগন ফল গাছের পরিচর্যা

আগাছা অপসারণ করে নিয়মিত সেচ প্রদান এবং প্রয়োজনে চারপাশে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছ লতানো এবং ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হওয়ায় সাপোর্টের জন্য ৪ টি চারার মাঝে ১টি সিমেন্টের ৪ মিটার লম্বা খুঁটি পুততে হবে।

চারা বড় হলে খড়ের বা নারিকেলের রশি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে যাতে কাণ্ড বের হলে খুতিকে আঁকড়ে ধরে গাছ সহজেই বাড়তে পারে।

প্রতিটি খুঁটির মাথায় একটি করে মটর সাইকেলের পুরাতন টায়ার মোটা তারের সাহায্যে আটকিয়ে দিতে হবে। তারপর গাছের মাথা ও অন্যান্য ডগা টায়ারের ভেতর দিতে বাইরের দিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। কেননা এভাবে ঝুলন্ত ডগায় ফল বেশি ধরে।

ড্রাগন ফল চাষে সার প্রয়োগ

নিম্নে মাদা প্রতি সারের পরিমান দেওয়া হল –

গাছের বয়সগোবর সারইউরিয়াটিএসপি এমওপি 
১-৩ বছর৪০-৫০ কেজি৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম
৩-৬বছর৫০-৬০ কেজি৩৫০ গ্রাম৩৫০ গ্রাম৩৫০ গ্রাম
৬-৯ বছর৬০-৭০ কেজি৪০০ গ্রাম৪০০ গ্রাম৪০০ গ্রাম
১০ বছরের ঊর্ধে৭০-৮০ কেজি৫০০ গ্রাম৫৫০ গ্রাম৫৫০ গ্রাম

ড্রাগন ফল চাষে সেচ ব্যবস্থাপনা

ড্রাগন ফল খরা ও জলাবধ্যতা সহ্য করতে পারে না। তাই শুষ্ক মৌসুমে ১০-১৫ দিন পর পর সেচ দিতে হবে।

এছাড়া ফলন্ত গাছে ৩ বার অর্থাৎ ফুল ফোটা অবস্থায় একবার, ফল মটর দানা অবস্থায় একবার এবং ১৫ দিন পর আরেকবার সেচ দিতে হবে।

ড্রাগন ফল চাষে রোগবালাই ব্যবস্থাপনা

ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে না। তাবে কখনো কখনো এ গাছে মূলপঁচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়।

১) মূলপচা

গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পচে যায়। এ রোগ হলে মাটির ভেতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পচতে পচতে গাছের সমস্ত মূল পচে যায়।

গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। 

২) কান্ড ও গোড়া পচা রোগ

ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে গাছের কান্ডে প্রথমে হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ওই অংশে পচন শুরু হয় এবং পচার পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এ রোগ দমনের জন্য যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডোমিল, থিওভিট ইত্যাদি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।

ড্রাগন ফল চাষে পোকামাকড় দমন

ড্রাগন ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিডের বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে।

এ পোকা ডগার উপর আঠাল রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরি ব্যাহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধারণ কমে যায়।

এ পোকা দমনে সুমিথিয়ন/ডেসিস/ম্যালাথিয়ন এসব কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলিলিটার বা ৫ কাপ ভালো ভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।

ড্রাগন ফল সংগ্রহ ও ফলন

ড্রাগন ফলের কাটিং থেকে চারা রোপণের পর ১ থেকে ১.৫ বছর বয়সের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। ফল যখন সম্পূর্ণ লাল রঙ ধারণ করে তখন সংগ্রহ করতে হবে। গাছে ফুল ফোটার মাত্র ৩৫-৪০ দিনের মধ্যেই ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। বছরে ৫-৬টি পর্যায়ে ফল সংগ্রহ করা যায়। প্রথমত জুন-অক্টোবর, দ্বিতীয় ডিসেম্বর-জানুয়ারি।

কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ, ফসলের চাষ পদ্ধতি, সার প্রয়োগ এবং ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করূন Krishakbd.com

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *