কমলা চাষ পদ্ধতি
লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে বাংলাদেশে কমলা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বানিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে। তাই আসুন জেনে নিই কমলা চাষের সঠিক পদ্ধতি।
লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে বাংলাদেশে কমলা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি সুমিষ্ট, সুগন্ধযুক্ত, ঔষধিগুন সম্পন্ন ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল।
বাজারমূল্য, চাহিদা ও পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। কমলা সর্দিজ্বর ও বমি নিবারক।
জ্যাম, জেলি, জুস হিসেবে কমলার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সিলেট, মৌলভীবাজার, পঞ্চগড় ও পার্বত্য জেলাসমূহে বানিজ্যিকভাবে কমলা চাষ হয়ে থাকে।
তাই আসুন জেনে নিই কমলা চাষের সঠিক পদ্ধতি।
কমলা চাষের সঠিক পদ্ধতি
কমলা চাষে জলবায়ু ও মাটির ধরন
যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হয় এমন আর্দ্র ও উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে কমলা ভালো হয় প্রখর সূর্যকিরণ ও উচ্চ তাপমাত্রায় গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
বছরে ১৫০০ থেকে ২৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড গড় তাপমাত্রা এবং আংশিক ছায়াযুক্ত স্থান কমলার জন্য উপযোগী।
উঁচু, উর্বর, গভীর সুনিষ্কাশিত এবং মৃদু অম্লভাবাপন্ন বেলে দোআঁশ মাটি কমলা লেবু চাষ করার জন্য উপযোগী। কমলা চাষের জন্য মাটির আদর্শ পি.এইচ মান ৫.৫ থেকে ৬.০।
আমাদের দেশের সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু কমলা চাষের জন্য উপযোগী।
কমলার জাত
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বারি কমলা-১, বারি কমলা-২ (পাহাড়ী এলাকায় চাষযোগ্য), বারি কমলা-৩ ইত্যাদি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে চাইনিজ কমলা, খাসিয়া, দার্জিলিং, নানিয়ারচরের শৈলেশ্বরী কমলা ইত্যাদি সম্ভাবনাময় জাতের চাষও হয়ে থাকে।
কমলা চাষে চারা উৎপাদন
যৌন ও অযৌন উভয় পদ্ধতিতেই কমলার বংশ বিস্তার করা যায়। কমলার ক্ষেত্রে সাধারনত বাডিং (কুঁড়ি সংযোজন), চোখ কলম ও গ্রাফিটং (জোড় কলম) এর মাধ্যমে অযৌন চারা বা কলমের চারা উৎপাদন করা হয়।
কমলা চাষে জমি তৈরি
জমির আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। সমতল ভূমিতে আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে এবং পাহাড়ি অঞ্চলে কোদালের সাহায্যে জমি তৈরি করতে হবে।
জমি তৈরির পর উভয় দিকে ৪-৫ মিটার দূরত্বে ৭৫ × ৭৫ × ৭৫ সে:মি: আকারে গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্তের মাটি তুলে পাশে রেখে দিতে হবে।
কমলা চাষের নির্বাচিত জমি পাহাড়ি হলে সেখানে ৩০-৫০ মিটার দূরত্বে ২-৪টি বড় গাছ রাখা যেতে পারে। তবে বড় গাছ কাটলে শিকড়সহ তুলে ফেলতে হবে। তারপর পাহাড়ের ঢাল অনুসারে নকশা তৈরি করে নিতে হবে।
কমলা চাষেমাদা তৈরি
চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট, ৩-৫ কেজি ছাই, ২৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি এবং ২৫০ গ্রাম চুন গর্তের উপরের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে।
গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে।
কমলার চারা রোপণ পদ্ধতি ও সময়
সমতল ভূমিতে বর্গাকার কিংবা ষড়ভুজাকার এবং পাহাড়ী জমিতে পাহাড়ের ঢালে সিড়ি (ধাপ) তৈরি করে অথবা সিড়ি তৈরি করা সম্ভব না হলে পাহাড়ের ঢালে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোলাকার বা অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারের বেড তৈরি করে চারা লাগানো যেতে পারে।
বর্ষার শুরুতে অর্থাৎ বৈশাখ (মে-জুন) মাস কমলার চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে সেচের ব্যবস্থা থাকলে যে কোন মৌসুমে কমলার চারা লাগানো যায়।
চারা কলম রোপণের পর হালকা ও অস্থায়ী ছায়ার ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল।
কমলা চাষে চারা রোপণ ও পরিচর্যা
সুস্থ সতেজ ১.০-১.৫ বছর বয়সের চারা/কলম সংগ্রহ করে গর্তের মাঝখানে এমনভাবে রোপণ করতে হবে যেন চারার গোড়ার মাটির বলটি ভেঙ্গে না যায়। চারা রোপণের পর গাছের গোঁড়ার মাটি ভালভাবে চেপে দিয়ে হালকা সেচ দিতে হবে। রোপণের পর চারা যাতে হেলে না পড়ে সে জন্য শক্ত খুটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
কমলা চাষে সার প্রয়োগ
গাছের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য সময়মত, সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
বয়সভেদে গাছপ্রতি সারের পরিমাণ নিম্নে দেওয়া হল –
গাছের বয়স (বছর) | গোবর সার (কেজি) | ইউরিয়া (গ্রাম) | টিএসপি (গ্রাম) | এমওপি (গ্রাম) |
১-২ | ১০ | ২০০ | ১০০ | ১৫০ |
৩-৪ | ১৫ | ৩০০ | ১৫০ | ২০০ |
৫-১০ | ২০ | ৫০০ | ৪০০ | ৩০০ |
১০ এর অধিক | ৩০ | ৬৫০ | ৫০০ | ৫০০ |
উপরোক্ত সারের অর্ধেক গাছ থেকে ফল সংগ্রহের পর এবং বাকি অর্ধেক ফল মার্বেল আকার ধারণ করার পর প্রয়োগ করতে হবে।
ফলবান গাছের ডালপালা যে পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে তার নিচের জমি কোদাল দিয়ে হালকা করে কুপিয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।
সাধারণত গাছের গোড়ার ৩০ সেঃমিঃ এলাকায় কোন সক্রিয় শিকড় থাকে না, তাই সার প্রয়োগের সময় এই পরিমাণ স্থানে সার প্রয়োগ করা উচিত নয়।
কমলা গাছের শিকড় মাটির উপরের স্তরে থাকে তাই সার প্রয়োগ বা পরিচর্যার সময় শিকড় যাতে কেটে না যায় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে।
সার প্রয়োগের সময় মাটিতে যথেষ্ট রস না থাকলে সাথে সাথে সেচ দিতে হবে।
কমলা চাষে পানি সেচ ও নিষ্কাশন
বয়স্ক গাছে খরা মৌসুমে ২-৩টি সেচ দিলে কমলার ফলন ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। ফলের বাড়ন্ত অবস্থায় সেচ দিলে ফলের আকার বড় ও রসযুক্ত হয়।
গাছের গোড়ায় পানি জমলে মাটি বাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কমলা চাষে অন্যান্য পরিচর্যা
কমলা গাছের জন্য ডাল ছাঁটাই অপরিহার্য। গাছ লাগানোর পর ফল ধরার পূর্ব পর্যন্ত ধীরে ধীরে ডাল হেঁটে গাছকে নির্দিষ্ট আকার দিতে হবে যাতে গাছ চারিদিকে ছড়াতে পারে।
কারণ পার্শ্ব ডালগুলিতে ফল বেশি ধরে। কাণ্ডের এক মিটার উচ্চতা পর্যন্ত সব ডাল ছাঁটাই করতে হবে। ডাল ছাঁটাই করার পর ডালের কাটা অংশে বর্দোপেস্টের প্রলেপ দিতে হবে।
কমলা বাগান আগাছামুক্ত রাখতে হবে। গাছের উপরে পরগাছা ও লতাজাতীয় আগাছা থাকলে তা দূর করতে হবে।
পাহাড়ী এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় খড় কুটা/ লতাপাতা/কচুরিপানা ইত্যাদি দিয়ে জাবড়া প্রয়োগ করা আবশ্যক।
কমলা বাগানে প্রাথমিক পর্যায়ে মটর, সীম, টমেটো, বরবটি, ঢেঁড়স, আমিলা পাতা, লাউ-কুমড়া ইত্যাদি আন্তঃফসল হিসাবে চাষ করা যায়।
ফল সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর পরিচর্যা
ফল ভালভাবে পাকার পর অর্থাৎ কমলা বর্ণ ধারণ করলে সংগ্রহ করতে হবে। এতে ফলের মিষ্টতা বৃদ্ধি পায়। গাছ হতে ফল সংগ্রহ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে ফলগুলোতে যাতে আঘাত না লাগে।
তাজা ফল হিমাগারে সংরক্ষণ করলে ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপামাত্রায় ও ৮০-৯০% আপেক্ষিক আর্দ্রতায় ২ মাস পর্যন্ত এবং ৫-৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
তাজা ফল সংগ্রহের পর ১৩ শতাংশ তরল মোমের আবরণ দিয়ে সাধারণ তাপমাত্রায়ও ২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব।
কমলা চাষে বালাই ব্যবস্থাপনা
১. লিফ মাইনার পোকা – এ পোকার কীড়াগুলো কচি পাতার উপত্বকের ঠিক নিচের সবুজ অংশ খেয়ে আকা-বাঁকা সুড়ঙ্গের মত সৃষ্টি করে।
আক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে গাছের পাতা কুঁকড়ে যায় ও বিবর্ণ হয়ে শুকিয়ে করে পড়ে। আক্রান্ত পাতায় ক্যাঙ্কার রোগ হয়।
এ পোকা দমনে পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় লার্ভাসহ আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
প্রতি লিটার পানিতে ০.২৫ মিলি এডমায়ার ২০০ এমএল বা ২ মিলি কিনালাক্স ২৫ ইসি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার কচি পাতায় স্প্রে করতে হবে।
২. ফলের মাছি পোকা – পূর্ণাঙ্গ পোকা আধা পাকা ফলের ভিতরে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে লার্ভা বা কীড়া বের হয়ে ফলের শাঁস খেতে থাকে।
পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত স্থানে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মে আক্রান্ত ফল পঁচে যায় এবং খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এ পোকা দমনে আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ফল পরিপক্ক হওয়ার সাথে সাথে ফল সংগ্রহ করতে হবে। সেক্স ফেরোমন ফাঁদ দ্বারা পূর্ণাঙ্গ পুরুষ পোকা মারা যেতে পারে।
৩. কমলা গান্ধী পোকা – ফলের গায়ে ছিদ্র করে রস চুষে খায়। মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য-কার্তিক মাসে যখন ফল পুরো রসালো হয় তখন এ পোকার উপদ্রব শুরু হয়।
এতে ছিদ্রস্থান ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত। হয়ে কয়েকদিন পর হলদে হয়ে ফল ঝরে যায়। এ পোকা দ্বারা আক্রান্ত ফলে কীড়া পাওয়া যায় না।
প্রতিকার হিসাবে বাড়ন্ত ফল ব্যাগিং বা কাগজের প্যাকেট দিয়ে মুড়ে দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া আলোর ফাঁদের দ্বারা পূর্ণাঙ্গ পোকা দমন করা যেতে পারে।
ম্যালাথিয়ন অথবা সুমিথিয়ন- ৫০ ইসি ১ লিটার পানিতে ২ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার জমিতে স্প্রে করা যেতে পারে।
৪. গ্রিনিং রোগ – কমলা ও মাল্টা জাতীয় গাছের গ্রিনিং একটি মারাত্মক ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগ। সাধারণত রোগাক্রান্ত গাছের পাতা দস্তার অভাবজনিত লক্ষণের ন্যায় হলদে ভাব ধারণ করে।
পাতার শিরা দুর্বল হওয়া, পাতা কিছুটা কোঁকড়ানো ও পাতার সংখ্যা কমে আসা, গাছ উপর থেকে নিচের দিকে মরতে থাকা ও ফলের সংখ্যা কমে যাওয়া হলো এ রোগের প্রধান লক্ষণ।
এ রোগ সাইলিডবাগ নামক এক প্রকার পোকা দ্বারা সংক্রমিত হয়। রোগাক্রান্ত গাছ থেকে ডাল নিয়ে জোড় কলম, শাখা কলম বা গুটি কলম করলে নতুন গাছেও এ রোগ দেখা দেয়।
এ রোগ দমনে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি মাসে একবার সুমিথিয়ন ৫০ ইসি প্রয়োগ করে এ রোগ বিস্তারকারী সাইলিডবাগ পোকা দমন করতে হবে। আক্রান্ত গাছ উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৫. ক্যাঙ্কার – কমলা ও অন্যান্য লেবু জাতীয় ফলের কচি বাড়ন্ত কুঁড়ি, পাতা ও ফলে এ রোগের আক্রমণ বেশি হয়। আক্রান্ত পাতার উভয় পাশে খসখসে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে এবং আক্রান্ত ডগা উপর দিক থেকে মরতে থাকে। ফলের উপর আক্রমণ বেশি হলে ফল ফেটে যায় ও ঝরে পড়ে।
৬. ডাইব্যাক বা আগা মরা রোগ – বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত রোগাক্রান্ত দুর্বল গাছ এবং মাটিতে রস ও খাদ্যোপাদানের স্বল্পতার জন্য এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। আক্রান্ত গাছের পাতা ঝরে যায় ও আগা থেকে ডালপালা শুকিয়ে নিচের দিকে। আসতে থাকে এবং আস্তে আস্তে পুরো গাছটিই মরে যায়।
কমলার রোগ-বালাই প্রতিকার
বৃষ্টির মৌসুম আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই বর্দোমিক্সার বা কুপ্রাভিট ৫০ ডব্লিউপি অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড প্রয়োগ করতে হবে এবং সমগ্র বর্ষা মৌসুমে প্রতি মাসে একবার উল্লিখিত ছত্রাকনাশকগুলোর যে কোন একটি স্প্রে করতে হবে।
আক্রান্ত ফল ও পাতা কেটে ফেলতে হবে এবং বাগানে জমে থাকা আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। লিফ মাইনার পোকা দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিচর্যার মাধ্যমে গাছকে সবল ও সতেজ রাখতে হবে। মরা ডাল ২.৫ সে:মি: সবুজ অংশসহ কেটে ফেলা এবং কর্তিত অংশে বর্দোপেস্ট লাগাতে হবে ।
এজন্য দুটি পাত্রে ৭০ গ্রাম তুঁতে ও ১৪০ গ্রাম চুন আলাদাভাবে মিশ্রণ করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে বর্দোপেস্ট তৈরি করতে হবে।
বছরে ১/২ বার গাছে কুপ্রাভিট ৫০ ডব্লিউপি অথবা কপার অক্সিক্লোরাইড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে ।
যে অঞ্চলে বাতাস বেশি হয় সেখানকার বাগানের চারদিকে বাতাস প্রতিরোধক গাছ লাগাতে হবে ।
ফলের খোসা মোটা ও রস কমে যাওয়া – জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণে, দস্তা বা ফসফরাসের ঘাটতি হলে এবং পরিপক্ক হওয়ার পূর্বেই ফল সংগ্রহ করা হলে এ সমস্যা হয়।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম জিঙ্ক অক্সাইড অথবা ৫ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার পাতায় ও ফলে স্প্রে করতে হবে। অনুমোদিত জাতের চাষ করতে হবে।
কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ, ফসলের চাষ পদ্ধতি, সার প্রয়োগ এবং ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করূন Krishakbd.com