অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করার উপায়
নিয়মিত এলোভেরা বা ঘুতকুমারী গাছের যত্ন ও পরিচর্চা করলে অ্যালোভেরা গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। তবে তার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সূর্যালোক। আসুন জেন নিই অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করার উপায় সম্পর্কে।
অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করার সর্বোত্তম উপায় হলো সবসময় এলোভেরা গাছের পরিচর্চা এবং যত্ন করা। এলোভেরা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। নিয়মিত অ্যালোভেরা খেলে এটি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এলোভেরা উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
আর এলোভেরা ত্বকে লাগালে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা ঔষধিগুণ সমূহ ত্বকে প্রবেশ করে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। তাই চলুন জেনে আসি কিভাবে খুব দ্রুত অ্যালোভেরার গাছ বড় করা যায় সে সম্পর্কে।
আরোও জানকে পারেন – জানুন এলোভেরা চাষ পদ্ধতি
হাড়ের গুড়ো ও ডিমের খোসার গুড়ো এবং আলুর খোসা ও কলার খোসার সাহায্যে অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বড় করা সম্ভব
এলোভেরা গাছের গোঁড়ার মাটির সঙ্গে হাড়ের গুড়ো এবং ডিমের খোসার গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে দিলে অ্যালোভেরা গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয় এবং সেই সাথে গাছের পাতাও অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও অ্যালোভেরা গাছের গোঁড়ার দিকে নতুন চারা জন্মাতে শুরু করে এবং সেই চারাগুলোও অন্যত্র রোপন করলে দ্রুত বড় হবে।
অ্যালোভেরা গাছের গোড়ায় নতুন চারা জন্মালে তা মাতৃগাছ থেকে আলাদা করলে গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়
এলোভেরা গাছের গোড়ায় হাড়ের গুড়ো এবং ডিমের খোসার গুড়ো দেওয়ার ফলে গাছে যে নতুন চারা জন্মাতে থাকে তা সেই গাছ থেকে আলাদা করে সরিয়ে অন্য জায়গায় রোপন করলেে অ্যালোভেরা গাছের ও পাতার বৃদ্ধি দ্রুত হয় এবং সেই সাথে আরো অনেক এলোভেরা গাছ জন্মাতে শুরু করবে।
টবে শুধুমাত্র একটি অ্যালোভেরার চারা রাখলে এলোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
টবে এলোভেরাা চাষ করলে সেক্ষেত্রে টবে একটিমাত্র অ্যালোভেরার চারা রোখলে গাছটি খুব দ্রুত বড় হবে
অ্যালোভেরার গাছটি পর্যাপ্ত সূর্যালোকে রাখলে এলোভরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
এলোভেরা গাছ টবে বা বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন জায়গায় রোপন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত সূর্য়ের আলো থাকে। কারণ, এই অ্যালোভেরা গাছটি হলো মরুভুমির গাছ। তাই,পর্যাপ্ত আলোতে এলোভেরা গাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
এলোভেরা গাছের গোড়ায় পানি জমতে না দিলে অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
অ্যালোভেরা গাছের নিচে বা গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমলে গাছটি মারা যেতে পারে। তাই, সবসময় লক্ষ্য রাখতে যেন এলোভেরা গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। তাহলে অলোভেরা গাছ দ্রুত বড় হবে।
অ্যালোভেরা গাছের গোড়ায় জন্মানো ছোট ছোট চারাগুলোকে অন্য জায়গায় বা অন্য টবে রোপন করলে এলোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্দি পাবে
অ্যালোভেরা গাছের নিচে বা গোড়ায় বেশিরভাগ সময় বা কিছুদিন পর পর ছোট এলোভেরার চারা জন্মায়। সেই চারাগুলোকে আলাদা টবে বা অন্য জায়গায় নিয়ে রোপন করলে অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হবে।
মাঝে মাঝে এলোভেরা গাছের গোড়ায় বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক সার দিলে অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে
অ্যালোভেরা গাছের গোড়ার মাটিতে মাঝের মধ্যে বিভিন্ন জৈব বা প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সার ভালোভাবে মিশিয়ে দিলে অ্যালোভেরা গাছ বড় হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত উপাদান পাবে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
অ্যালোভেরা গাছ বড় হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে টবটি পরিবর্তন করে অন্য একটি বড় টবে বা অন্য জায়গায় এলোভেরা গাছটি স্থানান্তর করলে গাছটি আরো বড় হবে
যদি অ্যালোভেরা গাছটি বড় হয়ে যায় সেক্ষেত্রে গাছের বর্তমান টবটি পরিবর্তন করে অন্য বড় টবে বা অন্যত্র গাছটি সরিয়ে রোপন করলে এলোভেরা গাছটি কুবই দ্রুত আরো বড় হবে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত টবটি অ্রালোবেরা গাছের ভার সইতে পারছে ততক্ষণ গাছটি স্থানান্তর করার প্রয়োজন নেই।
এভাবে অ্যালোবেরা গাছের পরিচর্চা করলে গাছ এবং গাছের পাতা খুবই দ্রুত বড় হবে।
কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ, ফসলের চাষ পদ্ধতি, সার প্রয়োগ এবং ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করূন Krishakbd.com
FAQs
অ্যালোভেরা গাছ দোঁ-আশ ও অল্প বালু মিশ্রিত মাটিতে ভালো হয়। তবে সব মাটিতে এলোভেরার উৎপাদন ভালো হয় না।
অ্যালোভেরা গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অ্যালোভেরা গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না দেওয়া অথবা অতিরিক্ত পানি দেওয়া। তাই সবসময় পানি দেয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে এলোভেরা গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে।
এলোভেরা গাছ ৪ সপ্তাহ বা ২৮-৩০ দিনের মধ্যে বড় হতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালোভেরা গাছকে সবসময় বাড়ি পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে লাগাতে হবে।
অ্যালোভেরা গাছে গরমের দিনে প্রতি ২ থেকে ৩ সপ্তাহে একবার করে এবং বছরের বাকি সময়ে এলোভেরা গাছের গোড়ার মাটি সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে বা ৫/৬ সপ্ত পর পর পানি দিতে হয়।
অ্যালোভেরা কাটার নিয়ম হলো অ্যালোভেরার প্রধান কান্ডের যতটা সম্ভব কাছাকাছি অ্যালোভেরা পাতা কাটা। সবসময় অ্যালোভের গাছের নিচ থেকে পাতা সংগ্রহ করা উচিৎ।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের যত্ন নেওয়ার উপায় হলো গাছে নিয়মিত পানি দেওয়া, গাছে পর্যাপ্ত সূয্যের আলো পড়ার ব্যবস্ত করা ইত্যাদি।
অ্যালোভেরার হলুদ তরলটি খুবই বিষাক্ত। এটিকে অ্যালোইন বা ওরফে অ্যালো ল্যাটেক্স বলা হয়। কোনভাবে এই পদার্থের সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত স্থানটির জ্বালা এড়াতে গরম জল এবং সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরার জেল মুখে মাখলে ত্বক খুবউ উজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর হয়। তাই এলোভেরা বা য়ৃতকুমারী মুখে মাকার নিয়ম হলো ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ভালোমতো ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা। এভাবেই রূপচর্চায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়।
অ্যালোভেরার জেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম হলো একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল, নারকেলের দুধ এবং মধু ভালোমতো মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করে পানি দিয়ে চুল ধোয়ার পরে ঐ মিশ্রণটি চুলে শ্যাম্পুর মতো লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা। এভাবে নিয়মিত অ্যালোভেরার মিশ্রণটি চুলে মাখলে চুল ঘন কালো ও মজবুত হয়।
অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহারের নিয়ম হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে গুড়ো করে তা এলোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে ত্বক ও চুলে ব্যবহার করা। আর এবাবে প্রতিনিয়ত করলে ত্বক ও চুল সুস্থ্য থাকবে।
অ্যালোভেরার উপকারিতা হলো এটি আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এলোভেরা উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর এলোভেরা ত্বকে লাগালে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা ঔষধিগুণ সমূহ ত্বকে প্রবেশ করে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।