ভাল ফলন পেতে জানুন ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি | সবজি চাষ পদ্ধতি
ঢেঁড়শ এদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি অত্যন্ত লাভজনকও বটে। তাই আসুন ঢেঁড়স চাষের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
ঢেঁড়শ এদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি এবং অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
এটি যদিও শীতকালীন সবজি, কিন্তু এই ফসলের ব্যাপক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা থাকায় প্রায় সারা বছরই এই সবজি পাওয়া যায়। আর এই ঢেঁড়সের ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ভাইরাও এই ফষল চাষে মনযোগ দিচ্ছেন ও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই আসুন ঢেঁড়স চাষের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।
আরো পড়তে পারেন – জুম চাষ পদ্ধতি | জুম চাষ
ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে ৯০.১৭ গ্রাম জলীয় অংশ, ১.৪ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.৭ গ্রাম আঁশ, ৩৩ কিলোক্যালরি খাদ্য শক্তি, ২.০ গ্রাম আমিষ, .১৯ গ্রাম চর্বি, ৭.৪৫ গ্রাম শর্করা, ৮২ মিগ্রা ক্যালসিয়াম, ০.৬২ মিগ্রা লৌহ, ৩১.৩ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন কে, ৮২ মিগ্রা ক্যালসিয়াম, ২৯৯ মিগ্রা পটাশিয়াম এবং ২৩ মিগ্রা ভিটামিন-সি রয়েছে।
আরোও জানতে পারেন – ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,উপকারিতা ও অপকারিতা | ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
ঢেঁড়স চাষের সঠিক পদ্ধতি
ঢেঁড়স খুবই উপকারি একটি ফসল। বাংলাদেশে এই ঢেঁড়সকে ভেন্ডি বা ভিন্ডিও বলা হয়ে থাকে। এটি ডাযাবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা, রক্তে শর্করা পরিমাণ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিনিয়ত এই ঢেঁড়সের চাহিদা বাড়ছে। ফলে কৃষক ভাইরাও এই ফসল চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন। তাই চলুন জেনে নিই ঢেঁড়স চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
ঢেঁড়সের উন্নত জাত
যদিও ঢেড়সের অনেক জাত রয়েছে কিন্তু ঢেঁড়সের সবচেয়ে উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত জাত হলো বারি ঢেঁড়স-১, অলক, গ্রিন এলাজী।
আরোও পড়ুন – ছাদে লাগান ৬ টি বেগুন গাছ প্রতিদিন পাবেন বেগুন | বারোমাসি বেগুন চাষ পদ্ধতি
ঢেঁড়স চাষের মাটি ও জলবায়ু
ঢেঁড়স চাষের উপর্যুক্ত মাটি হলো দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি। তবে জল নিষ্কাশনের ভালো সুবিধা থাকলে এটেল মাটিও ঢেঁড়স চাষ করার জন্য উপর্যুক্ত।
ঢেঁড়স চাষের জলবায়ু
ঢেঁড়স চাষের জন্য উষ্ণ জলবায়ু তথা শুষ্ক এবং আর্দ্র আবহাওয়া খুবই ভালো। কারণ, এই আবহাওয়ায় ঢেঁড়সের ফলন খুবই ভালো হয়।
ঢেঁড়স চাষের জমি তৈরি
- গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে চাষের জমি তৈরি করতে হয়।
- মাটি থেকে সারির দুরত্ব হবে ৩০ ইঞ্চি।
- বীজ সারিতে ১৮ ইঞ্চি দূরে দূরে ২-৩ টি করে বীজ বুনতে হয়।
- জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব ৬ ইঞ্চি কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে দূরত্ব কমানো যেতে পারে।
- চারা গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
ঢেঁড়স বীজ বপনের সময়
যদিও সারা বছরই ঢেঁড়স চাষ করা যায় তবে মাঘ থেকে চৈত্র মাস বা মধ্য জানুয়ারী থেকে মধ্য মার্চ মাস পর্যন্ত ঢেঁড়স চাষের উপর্যুক্ত সময়।
বীজের পরিমান
জাত ভেদে শতক প্রতি ২০-২৫ কেজি।
ঢেঁড়স বীজ বপন বা রোপন পদ্ধতি
- ঢেঁড়স এর বীজ মাটিতে বোনার আগে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হবে।
- জমিতে সারি সারি করে বীজ বপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব হবে ৪৫ সে.মি. এবং সারিতে এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব হবে ৩০ সে.মি।
- ঢেঁড়সের বীজ মাটির ২ থেকে ৩ সেমি গভীরে বুনতে হবে।
- জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব ১৫ সেমি. কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। ঢেঁড়সের চারা গজানোর ৭ দিন পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকি চারাগুলো গর্ত থেকে তুলে ফেলতে হবে।
সার ব্যবস্থাপনা
সারের নাম | সারের পরিমাণ (শতক প্রতি) |
কম্পোস্ট | ৭৫ কেজি |
ইউরিয়া | ২৩০ গ্রাম |
টিএসপি | ৩৫০ গ্রাম |
পটাশ | ২৩০ গ্রাম |
সার প্রয়োগ পদ্ধতি
জমি তৈরি করার সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপন করতে হয়।
ইউরিয়া সার সমান দু‘কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর দিতে হবে।
সেচ
মাটির প্রকার ভেদ অনুযায়ী ১০/১২ দিন পর পর সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।
আগাছা দমন
চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
পোকামাকড় দমন
- ফ্লি বিটল পোকা – সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- ঢেঁড়শের ডগা ও ফলের মাজরা পোকা – আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন ওস্তাদ ২০ মিলিলিটার অথবা ম্যাজিক অথবা কট ১০ মিলিলিটার) প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার।
- শোষক পোকা/ হোপার/ শ্যামা পোকা – আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) অথবা কারবারাইল জাতীয় কীটনাশক (যেমন সেভিন ২০ গ্রাম) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষোধ পাতার নিচের দিকে যেখানে পোকা থাকে সেখানে স্প্রে করতে হবে।
- লেদা পোকা – আক্রমণ বেশি হলে এমামেক্টীন বেনজোয়েট জাতীয় কীটনাশক ( যেমন প্রোক্লেইম ১০ গ্রাম) অথবা সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন-রিপকর্ড ১০ তরল অথবা সিমবুশ ১০ তরল ২০ মিলিলিটার / ৪ মুখ) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
- ঢেঁড়শের জাব পোকা – আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার।
- ঢেঁড়শের পাতা মোড়ানো পোকা – পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন।
রোগবালাই ও প্রতিকার
- ঢেঁড়শের পাতার দাগ রোগ – ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল জাতীয় বালাইনাশক (যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে) ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করুন।
- ঢেড়ঁশের আগাম ধ্বসা রোগ – ম্যানকোজেব অথবা ম্যানকোজেব + মেটালক্সিল জাতীয় বালাইনাশক (যেমন: রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম প্রতি ১০লিটার পানিতে মিশিয়ে) ৭-১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করুন।
- পাউডারি মিলডিউ রোগ – সালফার জাতীয় ছত্রাক নাশক (যেমন কুমুলাস ৪০ গ্রাম বা গেইভেট বা মনোভিট ২০ গ্রাম) অথবা কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন: গোল্ডাজিম ৫ মিলিটার বা এমকোজিম বা কিউবি বা কমপ্যানিয়ন ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর আক্রমণের শুরু থেকে মোট ২-৩ বার প্রয়োগ করুন।
- গোড়া পচা রোগ – কার্বান্ডিজম জাতীয় ছত্রানাশক (যেমনঃ এমকোজিম ৫০; অথবা গোল্ডাজিম ৫০০ ইসি ১০ মিলি /২ মুখ ) ১০ লি পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার গাছের গোড়ায় ও মাটিতে স্প্রে করুন। আক্রমণ বোশি হলে প্রথম থেকে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রোভরাল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
- শুটি মোল্ড – পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমনঃ সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন এবংছত্রাক দমনে প্রপিকোনাজল জাতীয় বালাইনাসক (যেমন টিল্ট ২৫০ ইসি ৫ মিলিলিটার) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন।
- ডাঊনি মিলডিউ রোগ – ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ( যেমনঃ রিডোমিল গোল্ড ২০ গ্রাম ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন । স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সবজি বিষাক্ত থাকবে।
- মোজাইক ভাইরাস রোগ – জমিতে সাদা মাছি দেখা গেলে (বাহক পোকা) ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমনঃ এডমায়ার অথবা টিডো ১০ মি.লি. ২ মুখ ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে। সকাল বেলা গাছে ছাই ছিটিয়ে দিলে এই পোকা গাছ থেকে পড়ে যাবে৷
সতর্কতা
বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন।
ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন।
বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন।
ঢেঁড়স গাছের পরিচর্যা
- ঢেঁড়স গাছের প্রাথমিক বৃদ্ধির সময় নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
- এরপর ঢেঁড়স গাছের গোড়ার মাটির উপরিভাগ মাঝের মধ্যে আলগা করে দিতে হবে।
- জমিতে সেচ দেওয়ার পর জমিতে ‘জো’ আসলে কোদাল দিয়ে মাটির উপরের চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। এর ফলে মাটির ভিতরে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে এবং মাটি অনেক দিন রস থাকে।
- আগাম মৌসুমে ঢেঁড়স চাষ করলে অবশ্যই জল সেচ দিতে হবে।
- মাটির প্রকারভেদ অনুসারে ১০ থেকে ১২ দিন পর পর সেচ দেওয়া প্রয়োজন।
- বর্ষাকালে জমিতে জল নিষ্কাশনের জন্য ২৫-৩০ সেমি. উঁচু করে বেড তৈরি করতে হবে।
ফলন
সাধারণত বীজ বোনার ১২০ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে ঢেঁড়স ফসল সংগ্রহ করা যায়। জাত ভেদে শতক প্রতি ঢেঁড়সের ফলন হয় ৬০ – ৭০ কেজি।
সংরক্ষন
ঢেঁড়স ছায়ায় সংরক্ষণ করুন। মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিন। বেশি দিন সংরক্ষণ এর জন্য হিমাগারে রাখুন।
ঢেঁড়শের ইংরেজি নাম হলো ওকরা (Okra) অথবা লেডিজ ফিঙ্গার (Lady’s Fingers)।
ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Abelmoschus esculentus অথবা Hibiscus esculentus L.
কাঁচা ঢেঁড়স ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে খুবই সাহায্য করে। কাঁচা ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। যা অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কাঁচা ঢেঁড়স সিদ্ধ করে ভর্তা করে খাওয়া ভালো অথবা রান্না করে।
আসলে ঢেঁড়স খেলে সবার এলার্জি হয় না, কারো কারো ক্ষেত্রে হয়। তবে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের ঢেঁড়স খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।