সবচেয়ে লাভজনক ফল চাষ

মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ফলের চাহিদা অপরিসীম। বর্তমানে ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরাও খুবই লাভবান হচ্ছেন। তাই জানুন সবচেয়ে লাভবান ফল চাষ সম্পর্কে ।

সবচেয়ে লাভজনক ফল চাষ

বর্তমানে ফল চাষ খুবই লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে ফল চাষ করে কৃষক ভাইরা খুবই লাভবান হচ্ছেন। আমাদের দেশে দেশি বা মেীশুমি ফলের সরবরাহ কম থাকাকালীন সময়টাতে জনগণের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বিদেশি ফল চাষ করার প্রয়োজনিয়তা অপরিসীম। আর এই বিদেশি ফল চাষ করে জনগনের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে সবচেয়ে বেশি লাভ করা সম্ভব। তবে র্বতমান সময়ে ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি ফল, মাল্টা ফল, রাম্বুটান ফল, অ্যাভোকাডো ফল ও লংগান ফল সহ বিভিন্ন দামি ফল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই কোন ফল চাষ লাভজনক বা লঅভজনক ফল চাষ সম্পর্কে।

আরোও পড়ুন – https://krishakbd.com/fruit-preservation-method-and-way-to-keep-fruit-good/

ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব

ড্রাগন ফল চাষ সবচেয়ে বেমি লাভজনক। এই ড্রাগন ফল খেতে খুবই সুস্বাদু, রঙিন এবং এটি আকারে বেশ বড়। আর এই ড্রাগন ফল খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। আবহাওয়ার কারণে ড্রাগণ ফল চাষের জন্য পাহাড়ি অঞ্চল খুবই ‍উপযোগী। বাংলাদেশে সব জায়গায় ড্রাগন ফল চাষ হলেও পাহাড়ি এলাকায় এর উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়।

এক কষক ভাই জানান যে, তিনি তার এক একর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে বছরে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভ করেছেন এবং তার জমিতে তিনি ১০ থেকে ১২ টন ড্রাগন ফল উৎপাদিত হয়েছে। তবে অনেক সময় ২০ টন পর্যন্ত এই ড্রাগন ফলের উৎপাদন হয়। তবে বারি ড্রাগন ফল-১ চাষ লাভ বেশি।

স্ট্রবেরি ফল চাষ সবচেয়ে বেশি লাভজনক

আমাদের দেশের ড্রাগন ফলের চাহিদার পাশাপাশি স্ট্রবেরি ফলেরও খুবই চাহিদা রয়েছে। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে স্ট্রবেরি চাষ লাভ বেশি। এই স্ট্রবেরি ফলটিতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই দেশে ডিসেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত স্ট্রবেরি ফল ভালো উৎপাদান হয়ে থাকে এবং এই ফল বিক্রি করেও ভালো দাম পাওয়া যায়।

স্ট্রবেরির তিনটি উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত রয়েছে। সেগুলো হলে স্ট্রবেরি বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩। স্ট্রবেরি আকারে খুব বড় এবং খেতে খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে। আর আমাদের দেশের বাজারে কেজিপ্রতি স্ট্রবেরির দাম হলো ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা।

মাল্টা ফল চাষ খুবই লাভজনক

বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় মাল্টা ফল চাষ ও উৎপাদন করা সম্ভব এবং বাংলাদেশে এর উৎপাদনও ভালো হয়ে থাকে সেই সাথে এর চাহিদাও প্রচুর। মাল্টার উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত হলো বারি মাল্টা-১। এই ফলটি খেতে অত্যন্ত মিষ্টি এবং এটি আকারে তুলনামূলক বড়। পরিপক্ব হওয়ার পর এই মাল্টা ফল সবুজ রঙের হয়ে থাকে।

হেক্টর প্রতি মাল্টা ফলের উৎপাদন ২০ থেকে ২২ টনের মতো হয়ে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাজারে সবুজ মাল্টা ফলের খুবই ভালো সরবরাহ থাকে। এই ফল খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এই মাল্টা ফল অনেকটা লেবু জাতীয় ফল। বাজারে মাল্টার ভালো চাহিদা থাকায় এই মাল্টা চাষ করে কৃষক ভাইদের ভালো লাভ বা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

রাম্বুটান ফল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব

লিচুর বিকল্প ফল হিসেবে এই রাম্বুটান ফলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ফলটি লাল রঙের হয়ে থাকে এবং এর ভিতরের অংশটা অনেকটা লিচুর মতোই দেখতে হয়। রাম্বুটান একটি মালয়েশিয়ান ফল। গ্রীষ্মকালে এই রাম্বুটান ফলের ফলন খুবই ভালো হয় এবং বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই রাম্বুটান ফল চাষ করে লাভ করা সম্ভব।

আরোও পড়তে পারেন – তরমুজ চাষে অধিক লাভ

রকমেলন ফল চাষ করা সবচেয়ে বেশি লাভজনক

রকমেলন ফলটি হলো সাউথ আফ্রিকান ফল। এই রকমেলন দেখতে তরমুজের মতো। বাংলাদেশে এই ফলে চাহিদা থাকায় বাংলাদেশেও এই ফলের ব্যাপক চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরাও এই ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

আরোও পড়ুন – অধিক লিচু পেতে করণীয়

লংগান ফল চাষ খুবই লাভজনক

এই লংগান ফল দেখতে অনেকটা লিচুর মতো। এই লংগান ফলকে জায়গা ভেদে কাঁঠলিচু বা আঁশফলও বলা হয়ে থাকে। বাজারে এই লংগান ফলের দাম কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়। বর্তমানে লংগান ফলের উন্নত জাত বারি লংগান-২ বেশ জনপ্রিয় এবং এই ফল বিক্রি করে অধিক লাভ করছেন কৃষক ভাইরা। এই রংগান ফল জুলাই থেকেঅগাস্ট মাসে পরিপক্ব হয়ে থাকে।

সবচেয়ে লাভজনক অ্যাভোকাডো ফল চাষ

এই অ্যাভোকাডো ফল শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বেই এই ফলের চাহিদা রয়েছে এবং পুরো বিশ্বেই এই ফল খুব দামি। বাংলাদেশেও এই ফল চাষের চেষ্টা চলছে। কারণ, আর এই অ্যাভোকাডো ফল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে আশাবাদি বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ, ফসলের চাষ পদ্ধতি, সার প্রয়োগ এবং ফসলের বিভিন্ন রোগ বালাই সম্পর্কে জানতে নিয়মিত ভিজিট করূন Krishakbd.com

FAQs

ফুল চাষ কি লাভজনক?

ফুল চাষ অবশ্যই লাভজনক। কারণ ফুল চাষ ফসল চাষ থেকেও সহজ। এছাড়াও ফুল চাষে উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগে এবং ফুলের রোগবালাইও কম হয়ে থাকে। তাছাড়াও ফুল চাষ করতে জায়গাও কম লাগে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ফুলের খুবই চাহিদা রয়েছে।

ফুল চাষে কি কি সার দিতে হয়?

ফুল চাষে যেসব সার দিতে হয় সেগুলো হলো পচা গোবর সার, টিএসপি সার, হাড়ের গুঁড়া, এমওপি সার, ইউরিয়া সার, খৈল, চা-পাতার উচ্ছিষ্টাংশ, ছাই ইত্যাদি।

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি?

ড্রাগন ফল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *