পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা জানুন পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি ও জমি তৈরি এবং সার প্রয়োগের ব্যবহার সম্পর্কে
পুঁইশাক অত্যন্ত পুষ্টিকর শাক। তাই বলা হয় ‘শাকের রাজা পুঁই’।এটি গৃষ্মকালীন পাতা বহুল সবজি। জায়গার অভাবে একটি বাড়ি ঘরের বেড়ায় এবং পারিবারিক বাগানের কিনারে জন্মানো যায়।
আরো পড়ুন – লাল শাক চাষ পদ্ধতি
মাটি
এটি সুনিকাশযুক্ত দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও এঁটেল মাটিতে জন্মে।
বীজ বপনের সময়
ফাগুন-জ্যৈষ্ঠ। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এর চাষ ভালো হয়।
জাত
একই প্রজাতির দুটো জাত রয়েছে। যথা- লাল ও সবুজ।
জমি তৈরি
৫-৬ টি চাষ ও মই দিয়ে উত্তমরূপে জমি তৈরি করতে হয়।
আরোও পড়তে পারেন – পালংশাক চাষ পদ্ধতি
দূরত্ব
সারি থেকে সারি ১ মিটার (৩ ফুট) ও চারা থেকে চারা ৫০ সেঃমিঃ (১.৭ ফুট) দুরুত্বে রোপন করতে হয়।
সারের পরিমাণ
সারের পরিমাণ | গোবর | ইউরিয়া | টিএসপি | এমওপি |
প্রতি শতকে | ১৬ কেজি | ১.১৫ কেজি | ৩২০ গ্রাম | ৩০০ গ্রাম |
একর প্রতি | ১.৬ টন | ১১৫ কেজি | ৩২ কেজি | ৩০ কেজি |
হেক্টর প্রতি | ৪.০ টন | ২৮০ কেজি | ৮০ কেজি | ৭৫ কেজি |
সার ব্যবহারের নিয়ম
গোবর ও টিএসপি অর্ধেক জমি তৈরির সময় এবং বাকি অর্ধেক চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও পটাশ চারা রোপণের পর ২-৩ কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
আরোও পড়ুন – কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয় | সবজি চাষ পদ্ধতি
বীজের হার
প্রতি শতকে | একর প্রতি | হেক্টরপ্রতি |
৪ গ্রাম | ৪০০ গ্রাম | ১.০ কেজি |
বীজ বপন বা রোপন
সরাসরি বীজ বোনা যায়। আবার বীজতলায় চারা উৎপন্ন করে চারার ৩-৪ টি পাতা বের হলে লাগানো যায়।
আরোও পড়তে পারেন – মূলা চাষ পদ্ধতি
পরিচর্যা
আগাম ফসলে রসের কমতি হলে সেচ দিতে হয়। সেচের পর ‘জো’ এলে নিড়িয়ে মাটি আলগা করে দিতে হয়।
বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হয়। সার উপরি প্রয়োগের পর সেচ দিলে ফলন অধিক হয়।
চারা ২৫-৩০ সেঃমিঃ উঁচু হলে আগা কেটে দিলে গাছ ঝোপালো হয়। শাখা একটু লম্বা হলে সেগুলোর মাথা কেটে দিতে হয়।
রোগ বালাই
তেমন কোন রোগ বালাই নেই। তবে পাতায় দাগ রোগ দেখা দেয়।
ফসল সংগ্রহ
দফায় দফায় গাছের ডগা কেটে নিলে নতুন ডগা বের হয়। ভালোভাবে যত্ন নিলে কার্তিক মাস পর্যন্ত অর্থাৎ শীত আসার আগ পর্যন্ত শাক পাওয়া যায়।
আরোও পড়ুন – ফুলকপি চাষ পদ্ধতি
ফলন
প্রতি শতকে | একর প্রতি | হেক্টর প্রতি |
২০০-৮০০ কেজি | ২০-২৮ টন | ৫০-৭০ টন |